ব্যান্ডসংগীতের ইতিহাসের কিংবদন্তি শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বাংলা ব্যান্ডসংগীতের ইতিহাসের কিংবদন্তি শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু ঊনিশ বাষট্টি সালের ষোলোই আগস্ট চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

তাঁর “আম্মাজান” গানটি বাংলা সিনেমার ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় গানগুলোর একটি ধরা হয়।

প্রথম গান ‘হারানো বিকেলের গল্প’ পরিবেশনের মাধ্যমে তার সংগীত জীবন শুরু হয়েছিলো উনিশশো সাতাত্তর সালে।

পরের বছর অর্থাৎ উনিশশো আটাত্তর সালে আইয়ুব বাচ্চু তার প্রথম ব্যান্ড ফিলিংস এর পথচলা শুরু করেন। তবে এরপর তিনি যোগ দেন সোলসে।

উনিশশো আশি থেকে পরবর্তী এক দশক এই ব্যান্ডে যুক্ত ছিলেন।

সোলস ছাড়ার পর উনিশশো একানব্বই সালে নিজে গঠন করেন নতুন ব্যান্ড এলআরবি। প্রথমে এলআরবির পূর্ণ অর্থ ছিল লিটল রবিনস ব্যান্ড। পরে এই নাম বদলে করা হয় লাভ রানস ব্লাইন্ড।

উনিশশো ছিয়াশি সালে প্রকাশিত রক্তগোলাপ ছিলো তার প্রথম একক অ্যালবাম। তবে উনিশশো বিরানব্বই সালে এলআরবির হয়ে প্রথম অ্যালবাম ছিলো ‘এলআরবি’।

সংগীত জীবনের তার উল্লেখযোগ্য ব্যান্ড অ্যালবাম গুলোর মধ্যে অন্যতম এলআরবি, সুখ, তবুও, ঘুমন্ত শহরে, ফেরারী মন, স্বপ্ন, আমাদের বিস্ময়, মন চাইলে মন পাবে, অচেনা জীবন, মনে আছে নাকি নেই, স্পর্শ এবং যুদ্ধ।

একক অ্যালবামের ক্ষেত্রেও আইয়ুব বাচ্চু আপন মহিমায় সমুজ্জ্বল। তার উল্লেখযোগ্য একক অ্যালবামের মধ্যে রয়েছে রক্তগোলাপ, ময়না, কষ্ট, সময়, একা, প্রেম তুমি কি!, দুটি মন, কাফেলা, প্রেম প্রেমের মতো, পথের গান, ভাটির টানে মাটির গানে, জীবন, সাউন্ড অব সাইলেন্স, রিমঝিম বৃষ্টি, বলিনি কখনো এবং জীবনের গল্প।

এগুলো ছাড়াও অনেক মিশ্র অ্যালবামে কাজ করেছেন তিনি। এর মধ্যে প্রিন্স মাহমুদের সুরে করা মিশ্র অ্যালবামগুলোতে তাঁর কিছু গান আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা পায়।

তাঁর সেরা গানগুলো নিয়ে একটি অ্যালবাম বের করা হয়। প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে চলচ্চিত্রেও গেয়েছেন।

দুইহাজার আঠারো সালের আজকের এই দিনটিতে অর্থাৎ আঠারো অক্টোবর হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী ইন্তেকাল করেন।

তাঁর বয়স হয়েছিল ছাপান্ন বছর।

আজ তার মৃত্যুবার্ষিকীতে লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠনের সকল, সদস্য দায়িত্বশীল এবং শুভাকাঙ্ক্ষীবৃন্দের পক্ষ থেকে জানাচ্ছি বিনম্র শ্রদ্ধা এবং অজস্র ভালোবাসা।

তারিখঃ- ১৮/১০/২০২১ ইং।

Facebook Comments