বাংলাদেশি বাউল গায়ক ও সুরকার বিদিত লাল দাস। তিনি হাছন রাজা, রাধারমণ দত্ত, গিয়াস উদ্দিনসহ অনেক লোকসংগীত শিল্পীদের গানের সুর করেছেন। তিনি উনিশশো ষাট এর দশকের একজন অন্যতম বেতার গায়ক।
তার সুর করা গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘কারে দেখাবো মনের দুঃখ গো’, ‘সিলেট প্রথম আজান ধ্বনি’, ‘প্রাণ কান্দে মোর’, ‘মরিলে কান্দিসনে আমার দায়’, ‘সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী’, ও ‘আমি কেমন করে পত্র লিখি’।
তিনি সিরাজউদ্দৌলা, দ্বীপান্তর, তপসী, প্রদীপশিখা, বিসর্জন, ও সুরমার বাঁকে বাঁকে নাটকের সংগীত পরিচালনা করেছেন।
বিদিত লাল দাস উনিশশো আটত্রিশ সালের আজকের এই দিনটিতে অর্থাৎ পনেরোই জুন সিলেটের শেখঘাটে সম্ভ্রান্ত জমিদার লাল পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
সিলেটের একজন বাসিন্দা হিসেবে সিলেটের প্রতি এবং সিলেটি ভাষা ও সঙ্গীতের প্রতি তার ছিল অপার টান। তাই তিনি বহু সিলেটি গান রচনা করেছেন। এছাড়া বিজিত লাল দাস লোকসঙ্গীত, বিশেষ করে সিলেটি লোকসঙ্গীত নিয়ে বিস্তর গবেষণা করেছেন এবং তার এই গবেষণার ফল হিসেবে তিনি “সুরমাপারের গান” নামক একটি গ্রন্থ রচনা করেন।
তার সফল্যের মধ্যে নজরুল একাডেমি পুরস্কার ও কলকাতায় ভারতীয় লোক সংবর্ধনা উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও তিনি অর্জন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি গুণীজন পুরস্কার, সিলেট লোকসঙ্গীত পরিষদ পুরস্কার, রাগীব রাবেয়া ফাউন্ডেশন একুশে পদক, বাংলাদেশ শিল্পকলাএকাডেমি গুনীজন সংবর্ধনা, জাতীয় রাধারমণ দত্ত পদক (মরনোত্তর), হাসন রাজা পদক (মরনোত্তর) প্রভৃতি।
দুইহাজার বারো সালের আটই অক্টোবর ভোর পাঁচটায় ঢাকার একটি হাসপাতালে এই সঙ্গীতগুরু চুয়াত্তর বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আজ তার জন্মবার্ষিকীতে লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠনের সকল সদস্য, দায়িত্বশীল এবং শুভাকাঙ্ক্ষীবৃন্দের পক্ষ থেকে জানাচ্ছি বিনম্র শ্রদ্ধা এবং অজস্র ভালোবাসা।
তারিখঃ- ১৫/৬/২০২১ ইং।