সফল নিরীক্ষাপ্রিয় নাট্যকার, নির্দেশক, নাট্যসংগঠক, নাট্যগবেষক প্রাবন্ধিক, অনুবাদক, শিক্ষক ও কবি জিয়া হায়দারের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বাংলাদেশের সফল নিরীক্ষাপ্রিয় নাট্যকার, নির্দেশক, নাট্যসংগঠক, নাট্যগবেষক প্রাবন্ধিক, অনুবাদক, শিক্ষক ও কবি জিয়া হায়দার। উনিশশো ছত্রিশ সালের আঠারোই নভেম্বর পাবনা জেলার দোহারপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

উনিশশো ছাপান্ন সালে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ থেকে পাস করেন আইএ। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বিএ, অনার্স করেছেন রাজশাহী কলেজ থেকে। আবার নাট্যকলা নিয়ে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি থেকেও।

তিনি নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কলেজের বাংলা বিভাগে ছিলেন প্রভাষক। এ ছাড়া কাজ করেছেন সহকারী সংস্কৃতি অধিকর্তা, বাংলা একাডেমি ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে সিনিয়র প্রোডিউসার হিসেবে।

উনিশশো সত্তর সালে ঢাকা টেলিভিশনের চাকরি ছেড়ে শিক্ষকতা শুরু করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে তিনি চারুকলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। নাটককে ভালোবেসে উনিশশো আটষট্টি সালে প্রতিষ্ঠা করেন নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়। এরপর চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠা করলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব থিয়েটার আর্টস (বিটা)।

তিনি সাতটি কাব্যগ্রন্থ, চারটি নাটক লিখেছেন এবং বেশকিছু নাটক অনুবাদও করেছেন। তিনি রচনা করেন রূপান্তরিত নাটক, প্রজাপতি নির্বন্ধ, তাইরে নাইরে না, উন্মাদ সাক্ষাৎকার, মুক্তি মুক্তি। এছাড়া অনুবাদ করেন নাটক দ্বার রুদ্ধ, ডক্টর ফস্টাস, এ্যান্টিগানে। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়সহ রবীন্দ্রভারতীতে তার রচিত বই পড়ানো হয়।

সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি উনিশশো সাতাত্তর সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং দুইহাজার এক সালে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদকে ভূষিত হন।

এ ছাড়া তিনি দুইহাজার সাত সালে শহীদ মুনীর চৌধুরী পদক এবং সুখেন্দু স্মৃতি নাট্য পদকও পান।

শেষ জীবনে জিয়া হায়দার ক্যানসারে আক্রান্ত হন। দুইহাজার আট সালের আজকের এই দিনটিতে অর্থাৎ দোসরা সেপ্টেম্বর প্রথিতযশা এই মানুষটি পৃথিবী থেকে বিদায় নেন।

আজ তার মৃত্যুবার্ষিকীতে লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠনের সকল সদস্য দায়িত্বশীল এবং শুভাকাঙ্ক্ষীবৃন্দের পক্ষ থেকে জানাচ্ছি বিনম্র শ্রদ্ধা এবং অজস্র ভালোবাসা।

তারিখঃ- ২/০৯/২০২১ ইং।

Facebook Comments