আধুনিক বাংলা কথাসাহিত্যের এক অন্যতম লেখক হলেন জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী। তিনি যেমন গল্প লিখেছেন তেমন লিখেছেন অনেক উপন্যাসও। তিনি লিখেছেন নিজের মত, সাহিত্যকে ভালোবেসে। মনের খেয়ালে একের পর এক সৃষ্টি করে গেছেন নানা গল্প, নানা উপন্যাস।
উনিশশো বারো খ্রিষ্টাব্দের বিশে আগষ্ট জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী বাংলাদেশের কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন।
সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ তাঁর ছোটবেলা থেকেই। লেখালেখি শুরু ছাত্রজীবন থেকেই। ঐ সময়কাল থেকেই তিনি কুমিল্লার সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
ঢাকার বাংলার বাণী পত্রিকায় গল্প লিখেছেন জ্যোৎস্না রায় ছদ্মনামে। পরবর্তীকালে কলকাতার বিভিন্ন সাপ্তাহিক যেমন সংবাদ, আত্মশক্তি, নবশক্তিতেও লিখেছেন নানা গল্প।
কিন্তু পূর্বাশার সঞ্জয় ভট্টচার্য আর দেশ এর সাগরময় ঘোষের হাত ধরেই বাংলা সাহিত্য জগতে তাঁর যথার্থ পদার্পণ। উনিশশো ছত্রিশ সালে ‘দেশ’ এর পাতায় প্রকাশিত হয় তাঁর ‘রাইচরণের বাবরি’। পূর্বাশা পত্রিকায় প্রকাশিত হয় তাঁর গল্প ‘অন্তরালে’।
জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী র গল্পগ্রন্থের সংখ্যা কুড়ি আর উপন্যাস আছে তিপান্নটি।
তাঁর প্রথম গল্প সংকলন ‘খেলনা’ পূর্বাশার সম্পাদক সঞ্জয় ভট্টাচার্যের উদ্যোগে প্রকাশিত হয়। আর প্রথম উপন্যাসের নাম ‘সূর্যমুখী’।
তাঁর অন্যান্য কয়েকটি গল্পগ্রন্থের নাম শালিক কি চড়ুই, চন্দ্রমল্লিকা, চারইয়ার, বনানীর প্রেম, মহিয়সী, ছিদ্র।
অন্যান্য কয়েকটি উপন্যাস হল মীরার দুপুর, বারো ঘর এক উঠোন, নীল রাত্রি, আলোর ভুবন, আকাশলীনা, প্রেমের চেয়ে বড়, সুনন্দার প্রেম ইত্যাদি।
উনিশশো বিরাশি সালের আজকের এই দিনটিতে অর্থাৎ তেসরা আগষ্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আজ তার মৃত্যুবার্ষিকীতে লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠনের সকল সদস্য, দায়িত্বশীল এবং শুভাকাঙ্ক্ষীবৃন্দের পক্ষ থেকে জানাচ্ছি বিনম্র শ্রদ্ধা এবং অজস্র ভালোবাসা।
তারিখঃ- ৩/৮/২০২১ ইং।