অনুরূপা দেবী ছিলেন একজন বিখ্যাত বাঙালি ঔপন্যাসিক।
তিনি আঠারশো বিরাশি সালে নয়ই সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।
অনুরূপা দেবীর পিতার নাম মুকুন্দদেব মুখোপাধ্যায় এবং পিতামহ ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ভূদেব মুখোপাধ্যায়। তার দিদি ইন্দিরা দেবী ছিলেন একজন ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার এবং কবি।
অনুরূপা দেবী তার পিতামহ ভূদেব মুখোপাধ্যায় ও দিদি ইন্দিরা দেবীর অণুপ্রেরণায় সাহিত্য চর্চা আরম্ভ করেন।
তার প্রথম কবিতা ঋজুপাঠ অবলম্বনে রচিত। রাণী দেবী ছদ্মনামে তার রচিত প্রথম গল্প কুন্তলীন পুরস্কার প্রতিযোগিতায় প্রকাশিত হয়।
তেরশো বঙ্গাব্দে তার রচিত প্রথম উপন্যাস টিলকুঠি নবনূর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তেরশো বঙ্গাব্দে তার উপন্যাস পোষ্যপুত্র ভারতী পত্রিকায় প্রকাশিত হলে তিনি বিখ্যাত হন।
অনুরূপা দেবী একজন সমাজ সংস্কারক ছিলেন। তিনি কাশী এবং কলকাতায় কয়েকটি বালিকা বিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি একাধিক নারীকল্যাণ আশ্রমের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
উনিশশো ত্রিশ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মহিলা সমবায় প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। নারীর অধিকার আন্দোলনের তিনি একজন পুরোধা ছিলেন।
তার রচিত উপন্যাস মন্ত্রশক্তি, মা, মহানিশা, পথের সাথী, বাগদত্তা নাটকে রূপান্তরিত হয়েছিল।
তিনি তেত্রিশটি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। জীবনের স্মৃতিলেখা তার অসমাপ্ত রচনা।
তিনি যে সকল উপন্যাস সম্পাদনা করেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পোষ্যপুত্র, বাগদত্তা, জ্যোতিঃহারা, মন্ত্রশক্তি, মহানিশা, মা, উত্তরায়ণ, পথহারা ইত্যাদি।
তার অন্যান্য সম্পাদনাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাহিত্যে নারী, স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি, বিচারপতি, জীবনের স্মৃতিলেখা ইত্যাদি।
লেখনীর জন্য তিনি কুন্তলীন পুরস্কার, ধর্মচন্দ্রিকা’ উপাধি, ভারতী উপাধি, জগত্তারিণী স্বর্ণপদক, ভুবনমোহিনী দাসী স্বর্ণপদক, লীলা লেকচার প্রভৃতি সম্মাননা অর্জন করেন।
উনিশশো আটান্ন সালের উনিশে এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আজ তার মৃত্যুবার্ষিকীতে লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠনের সকল সদস্য দায়িত্বশীল এবং শুভাকাঙ্ক্ষীবৃন্দের পক্ষ থেকে জানাচ্ছি বিনম্র শ্রদ্ধা এবং অজস্র ভালোবাসা।
তাংঃ- ১৯/০৪/২০২১ ইং