“কিত্তনখোলা” চলচ্চিত্র পরিচালক আবু সাইয়ীদের জন্মবার্ষিকী আজ

 

আবু সাইয়ীদ হলেন একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক। তিনি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পরিচালনার মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তার পরিচালিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “কিত্তনখোলা”।

উনিশশো বাষট্টি সালের পহেলা আগস্ট বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস বগুড়া জেলার ধুনট থানার ভাণ্ডারবাড়ী গ্রামে।

আবু সাইয়ীদ উনিশশো অষ্টাশি সালে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “আবর্তন” নির্মাণের মাধ্যমে চলচ্চিত্র পরিচালনা শুরু করেন। চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার অর্জন করে।

উনিশশো বিরানব্বই সালে তিনি নির্মাণ করেন আরেকটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “ধূসর যাত্রা”। এই চলচ্চিত্র পরিচালনার মাধ্যমে তিনি দ্বিতীয়বারের মত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন।

দুই হাজার সালে তিনি প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। সাহিত্যিক সেলিম আল দীনের কাহিনী ও চিত্রনাট্য অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্রটির নাম কিত্তনখোলা।

এই চলচ্চিত্র পরিচালনার মাধ্যমে তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

এছাড়া ফরিদুর রেজা সাগরের সাথে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র প্রযোজক এবং সেলিম আল দীনের সাথে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার ও শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

দুই হাজার চার সালে নির্মাণ করেন শঙ্খনাদ। চলচ্চিত্রটি দুই হাজার পাঁচ সালে ফ্রিবার্গ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব এ প্রদর্শিত হয় এবং গ্রান্ড প্রিক্স পুরস্কার অর্জন করে।

দুই হাজার ছয় সালে জনপ্রিয় সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ রচিত জনম জনম উপন্যাস অবলম্বনে নির্মাণ করেন নিরন্তর। চলচ্চিত্রটি ভারত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-এ প্রদর্শিত হয় এবং পরিচালক আবু সাইয়ীদ বিশেষ জুরি পুরস্কার অর্জন করেন।

এছাড়া একই বছর চলচ্চিত্রটি কেরালা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব এ প্রদর্শিত হয় এবং তিনি গোল্ডেন ক্রো পীজেন্ট ও ফিপ্রেসি পুরস্কার রজন করেন।

দুই হাজার সাত সালে একটি ক্ষুদ্র কমিউনিটিকে ঘিরে গড়ে ওঠা গল্প নিয়ে নির্মাণ করেন বাঁশি। পরের বছর দুই হাজার আট সালে মহাভারতের একটি ঘটনার ভিত্তিতে নির্মাণ করেন রূপান্তর।

দুই হাজার দশ সালে বাংলাদেশের ধর্ম, জঙ্গীবাদ, রাজনীতি নিয়ে নির্মাণ করেন “অপেক্ষা”।

দুই হাজার ষোল সালে নিজের রচিত কাহিনী নিয়ে নির্মাণ করেন “ড্রেসিং টেবিল”। ইমপ্রেস টেলিফিল্ম এবং তার নিজের প্রযোজিত এই ছায়াছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন রুহুল ও শিলা।

তিনি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও পূর্ণদৈর্ঘ্য দুই ধরনের চলচ্চিত্র নির্মাণ করে সফলতা অর্জন করেন। চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য তিনি তিনবার বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

এছাড়াও চারটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার পেয়েছে তার কয়েকটি চলচ্চিত্র।

আজ গুণী এই চলচ্চিত্র পরিচালকের জন্মবার্ষিকীতে লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠনের সকল সদস্য, দায়িত্বশীল এবং শুভাকাঙ্ক্ষীবৃন্দের জন্মবার্ষিকীতে জানাচ্ছি বিনম্র শ্রদ্ধা এবং অজস্র ভালোবাসা।

তারিখঃ- ১/৮/২০২১ ইং।

Facebook Comments