বিশিষ্ট বাঙালি শিশুসাহিত্যিক ননীগোপাল চক্রবর্তীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ননীগোপাল চক্রবর্তী ছিলেন একজন বিশিষ্ট বাঙালি শিশুসাহিত্যিক।

যশোর জেলার আড়কান্দি গ্রামে তার মাতুলালয়ে উনিশশো পাঁচ সালের বারোই ডিসেম্বর ননীগোপাল চক্রবর্তীর জন্মগ্রহণ করেন। তবে তার পৈতৃক নিবাস ছিল একই জেলারই মামুদপুরে।

ননীগোপাল চক্রবর্তী ছোটোদের জনপ্রিয় পত্রিকা ‘শিশুসাথী’, ‘মৌচাক’, ‘রামধনু’ পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন। তিনি গল্প, অ্যাডভেঞ্চার, ভ্রমণকাহিনী, বিজ্ঞান বিষয়ক রচনা-সহ অনুবাদেও পারদর্শী ছিলেন।

উনিশশো আটত্রিশ খ্রিস্টাব্দে তাঁর লেখা শিশুপাঠ্য গ্রন্থ ‘শিকারী শশী ও লাঠিয়াল রামরতন’ প্রকাশিত হয়। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ গুলির মধ্যে রয়েছে পার্কিং বুড়ো, চরকাবুড়ি, আকাশগঙ্গা, হাবুল চন্দোর, আমার বন্ধু ভাস্কর, দুচোখ যে দিকে যায়, বাদলা দিনের গল্প, ফুড়ুৎ গুড়গুড়ি, দুর্গমপথের যাত্রী প্রভৃতি।

বিজ্ঞান বিষয়ক ছোটোদের রচনাতেও তিনি কৃতিত্বের উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখেছেন। ‘আমাদের কীটপতঙ্গ’ গ্রন্থের জন্য রাষ্টীয় পুরস্কার লাভ করেছিলেন। শিশুসাহিত্য পরিষদ তাঁকে “ভুবনেশ্বরী পদক” দিয়ে সম্মানিত করে।

তাঁর লেখা “বাংলার কুটীর শিল্প” বইটির ভূমিকা লিখে দিয়েছিলেন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়। এছাড়া হাস্যরসের বিখ্যাত সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘সচিত্র ভারত’ এ তাঁর অনেক হাসির গল্প প্রকাশিত হয়েছে।

কৃষ্ণনগরের সাহিত্য-সংস্কৃতিমূলক প্রতিষ্ঠান ‘কৃষ্ণনগর সাহিত্য সংগীতি’ ও ‘বাণী পরিষদের’ সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রের ছোটদের জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিলেন।

তাঁর কৃতি সন্তান অধ্যাপক ড. পার্থসারথি চক্রবর্তীও বাংলা কিশোর সাহিত্যের অতি প্রিয় ও অপরিহার্য একটি নাম। পিতার ন্যায় তিনিও বিজ্ঞানের রহস্যকে ছোটদের কাছে গল্পে মনোগ্রাহী করে তুলেছেন।

উনিশশো নব্বই সালের আজকের এই দিনটিতে অর্থাৎ এগারোই আগস্ট শিশুসাহিত্যিক ননীগোপাল চক্রবর্তী মৃত্যুবরণ করেন।

আজ তার মৃত্যুবার্ষিকীতে লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠনের সকল সদস্য, দায়িত্বশীল এবং শুভাকাঙ্ক্ষীবৃন্দের পক্ষ থেকে জানাচ্ছি বিনম্র শ্রদ্ধা এবং অজস্র ভালোবাসা।

তারিখঃ- ১১/৮/২০২১ ইং।

Facebook Comments