‘আমি কান্না পড়ি আগুন লিখি নিগ্রহ দেখি অঙ্গার খাই লাঞ্ছিত হই আগুন লিখি’
—–কথাগুলো বলছিলেন বিশিষ্ট লেখিকা এবং কবি মল্লিকা সেনগুপ্ত।
তাঁর লেখা নারীবাদী ও সংবেদনশীল, সমসাময়িক ও ইতিহাস মুখী।
মল্লিকা সেনগুপ্তর জন্ম উনিশশো ষাট সালের আজকের এই দিনটিতে অর্থাৎ সাতাশে মার্চ ভারতের নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর শহরে।
তাঁর কবি জীবন শুরু উনিশশো একাশি সালে এবং সেই থেকে তিনি এগারোটি কবিতার বই, দুটি উপন্যাস এবং বিভিন্ন প্রবন্ধ লিখেছেন। তিনি সবমিলিয়ে কুড়িটি বই রচনা করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য বইগুলোর মধ্যে কথামানবী কবিতা,
পুরুষকে লেখা চিঠি, আমাকে সারিয়ে দাও ভালবাসা, সীতায়ন উপন্যাস ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিদ্যা কেন্দ্রে অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। নব্বই এর দশকে তিনি অপর্ণা সেন সম্পাদিত সানন্দা পত্রিকার কবিতা বিভাগের সম্পাদনা করতেন। স্বামী সুবোধ সরকারের সাথে তিনি ভাষানগর নামক একটি সাংস্কৃতিক পত্রিকা সম্পাদনা করতেন।
মল্লিকার কবিতা আপষহীন রাজনৈতিক ও নারীবাদী হিসেবে পরিচিত। তাঁর লেখনির গুণে তিনি আন্তর্জাতিক স্তরেও প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। তাঁর লেখা ইতোমধ্যেই বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
ইতিহাসের ব্রাত্য নারী চরিত্ররা প্রায়ই তাঁর লেখায় পুনর্জীবিত হয়েছেন।
ভারত সরকারের জুনিয়র রাইটার ফেলোশিপ তিনি লাভ করেছিলেন। উনিশশো আটানব্বই সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে সুকান্ত পুরস্কারে ভূষিত করে। পরে দুই হাজার চার সালে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি অনীতা-সুনীল বসু পুরস্কারও তিনি অর্জন করেছিলেন।
লেখিকা মৃত্যুবরণ করেন দুইহাজার এগারো সালের আঠাশে মে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা শহরে।
আজ তাঁর জন্মবার্ষিকীতে লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠনের সকল সদস্য দায়িত্বশীল এবং শুভাকাঙ্ক্ষীবৃন্দের পক্ষ থেকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা এবং অজস্র ভালোবাসা।
তারিখ:- ২৭/০৩/২০২১ ইংরেজি