মোহাম্মদ নাসির আলী ছিলেন বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক। তিনি সাধারনত ছোটদের জন্য লিখেছেন এবং সাহিত্যচর্চায় প্রতিষ্ঠা লাভ করেন শিশুসাহিত্যিক হিসেবে। ছোটদের জন্য শিক্ষামূলক গল্প, প্রবন্ধ ও জীবনকথা রচনায় দক্ষতার পরিচয় প্রদান করেন।
ঢাকা জেলার বিক্রমপুরের দাহদা গ্রামে উনিশশো দশ সালের দশই জানুয়ারী মোহাম্মদ নাসির আলী জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জগন্নাথ কলেজ হতে উনিশশো আঠাশ সালে তিনি কৃতিত্বের সাথে আইএ পাস করেন। পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে উনিশশো একত্রিশ সালে বিকম.পাস করেন।
শিশুতোষ বইয়ের লেখক হিসেবেই নাসির আলী বেশি পরিচিত। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা চল্লিশটিরও বেশি। তবে তিনি অনেক শিক্ষামূলক গল্প, প্রবন্ধ ও জীবনী লিখেছেন।
হাস্যরস সৃষ্টিতে তিনি যথেষ্ট দক্ষ ছিলেন। তার উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে আমাদের কায়েদে আজম, মণিকণিকা, শাহী দিনের কাহিনী, ছোটদের ওমর ফারুক, আকাশ যারা করলো জয়, আলী বাবা, টলস্টয়ের সেরা গল্প, ইতালীর জনক গ্যারিবল্ডি, বীরবলের খোশ গল্প, সাত পাঁচ গল্প, বোকা বকাই, যোগাযোগ, লেবু মামার সপ্তকাণ্ড, আলবার্ট আইনস্টাইন, মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা ইত্যাদি।
শিশুসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য নাসির আলী বেশ কয়েকটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে সম্মানিত হন।
তিনি উনিশশো সাতষট্টি সালে শিশুসাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, উনিশশো আটষট্টি সালে ইউনেস্কো এবং একই বছর ইউনাইটেড ব্যাংক অব পাকিস্তান পুরস্কার লাভ করেন। বই প্রকাশনার ক্ষেত্রে অবদানের জন্য উনিশশো আটাত্তর সালে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র ও উনিশশো পঁচাশি সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন তাকে স্বর্ণপদকে (মরণোত্তর) ভূষিত করে।
মোহাম্মদ নাসির আলী উনিশশো পঁচাত্তর সালের আজকের এই দিনটিতে অর্থাৎ ত্রিশে জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
আজ তার মৃত্যুবার্ষিকীতে লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠনের সকল সদস্য দায়িত্বশীল এবং শুভাকাঙ্ক্ষীবৃন্দের পক্ষ থেকে জানাচ্ছি বিনম্র শ্রদ্ধা এবং অজস্র ভালোবাসা।
তারিখঃ- ৩০/১/২০২১ ইং।