বিজাতীয় অপসাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে দেশকে মুক্ত করে নিজেদের দেশজ সংস্কৃতিকে সঠিকভাবে চর্চার মধ্য দিয়ে আমাদের হারিয়ে যাওয়া লোকজ সংস্কৃতিকে পুনর্জীবিত করা এবং এর মধ্য দিয়েএকটি রুচিশীল, সুস্থ সাংস্কৃতিক পরিবেশ তৈরী করার মূলমন্ত্র নিয়ে লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠন তাদের তৃতীয় শাখা হিসেবে কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলায় তাদের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু করেছে।
প্রথম বারের মতো আয়োজিত “কুতুবদিয়া শিল্প ও বাণিজ্য মেলায়”গতকাল এক পরিচিত সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় সংগঠনটির কুতুবদিয়া উপজেলা শাখার দায়িত্ব প্রাপ্ত সদস্য দের।
সংগঠনটির কুতুবদিয়া উপজেলা শাখার প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব সুজন চৌধুরী। এছাড়াও যারা দায়িত্ব পালন করবেন তাদের মধ্যে রয়েছেন বান্দরবন সিনিয়র জুড়িশিয়াল মেজিষ্ট্রেট জনাবা
মনীষা মহাজন,কুতুবদিয়া থানার সম্মানিত আফিসার ইনচার্জ জনাব দিদারুল ফেরদৌস, কুতুবদিয়া উপজেলার সমবায় অফিসার কামাল পাশা সহ স্থানীয় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জনাব সিরাজুল ইসলাম মধু।
কুতুবদিয়া উপজেলা শাখায় যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করবেন তাদের মধ্যে রয়েছেন কবি জসিমউদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিচুর রহমান, কুতুবদিয়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সজল দাশ,কুতুবদিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আক্কাস উদ্দীন।এছাড়াও রয়েছেন অর্জন,সালমান, মাহি, মিঠুন, নাইমা সহ ৩০ জন উদীয়মান সাংস্কৃতিক কর্মী যারা ১৯৮ জন সদস্যদের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে থেকে তাদের দায়িত্বপালন করবেন।
সহস্রাধিক উপজেলাবাসীর উপস্থিতিতে এই “কমিটি প্রদান” অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা জনাব আব্দুল্লাহ আল মারুফ।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন লোকজ সাংস্কৃতিক সংঠনে
র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল ও সদস্যবৃন্দ।
উল্লেখ্য ২০১৩ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত মন্চ থেকে যাত্রা শুরু করে লোকজ সাংস্কৃতিক সংঠন এবং ১৯৯১ সালের প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড়ের দীর্ঘ ২৬ বছর পর ২০১৭ সালের ১৬ই ডিসেম্বর কুতুবদিয়া উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে সফল ভালো গম্ভীরা নাট্য ও কুতুবদিয়া থানার শতবর্ষ অনুষ্ঠানে সংপালা পরিবেশন করে সংগঠনটি।সংগঠনটি ইতিমধ্যে লোকজ বিভিন্ন আঙ্গিক গম্ভীরা, আলকাপ,সংপালা সহ গ্রাম বাংলার বিভিন্ন লোকআঙ্গিক দেশের বিভিন্ন স্থানে সফলভাবে পরিবেশনার মধ্য দিয়ে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যক্রম সারাদেশ ব্যাপী
পরিচালনার জন্য উদ্ব্যাত্ব আহবান জানিয়ে সংগঠনটির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
লেখকঃ-
আব্দুল্লাহ আল মারুফ
(প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠন)