রাজশেখর বসু ছিলেন একজন বিশিষ্ট সাহিত্যিক, অনুবাদক, ও অভিধান প্রণেতা। তিনি পরশুরাম ছদ্মনামে তাঁর ব্যঙ্গকৌতুক ও বিদ্রুপাত্মক গল্পগুলির জন্য সুপ্রসিদ্ধ।
তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন আঠারোশো আশি সালের আজকের এই দিনটিতে অর্থাৎ ষোলোই মার্চ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার বামুনপাড়া গ্রামে তাঁর মাতুলালয়ে।
উনিশশো বিশ-এর দশকে রাজশেখর তাঁর সাহিত্যিক কর্মজীবন শুরু করেন। উনিশশো বাইশ সালে পরশুরাম ছদ্মনামে তিনি একটি মাসিক পত্রিকায় শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী লিমিটেড নামে ব্যঙ্গ রচনা প্রকাশ করেন। সেখানে অনেকগুলো রসরচনামূলক গল্পগ্রন্থ রচনা প্রকাশ করেন, যা তাঁকে প্রভূত জনপ্রিয়তা প্রদান করেছিল।
বলতে গেলে তিনি তুলনামূলক কিছুটা বেশি বয়সে তাঁর সাহিত্য-জীবন শুরু করেছিলেন। তাঁর গল্পরচনা ছাড়াও স্বনামে প্রকাশিত কালিদাসের মেঘদূত, বাল্মীকি রামায়ণ (সারানুবাদ), কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাসকৃত মহাভারত (সারানুবাদ), শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ইত্যাদি ধ্রুপদি ভারতীয় সাহিত্যের অনুবাদগ্রন্থগুলিও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা মোট ২১টি। উনিশশো সাতান্ন আটান্ন সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে ডি লিট উপাধিতে ভূষিত হন তিনি। এ ছাড়াও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সাম্মানিক ডক্টরেট উপাধি প্রদান করে।
ভারত সরকার কর্তৃক তিনি পদ্মভূষণ উপাধিতেও সম্মানিত হন উনিশশো ছাপান্ন সালে।
বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় রাজশেখর বসুর দু’টি ছোটগল্প চলচ্চিত্ররূপ ধারণ করে। সেগুলো হলো – পরশপাথর এবং বিরিঞ্চি বাবা অবলম্বনে মহাপুরুষ।
উনিশশো ষাট সালের সাতাশ এপ্রিল তিনি স্ট্রোক করেন এবং ঘুমন্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
আজ তাঁর জন্মবার্ষিকীতে লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠনের সকল সদস্য দায়িত্বশীল এবং শুভাকাঙ্ক্ষীবৃন্দের পক্ষ থেকে জানাচ্ছি বিনম্র শ্রদ্ধা এবং অজস্র ভালোবাসা।
তারিখ:- ১৬/০৩/২০২১ ইংরেজি