ভ্রমণ কাহিনিকার শঙ্কু মহারাজের জন্মবার্ষিকী আজ

আমি পথিক – সকল কালের, সকল দেশের, সকল যুগের পথিক।

আমি তাই এগিয়ে চলি – যুগ থেকে যুগান্তরে, দেশ থেকে দেশান্তরে, জীবন থেকে মহাজীবনের পথে।

কথাগুলো শঙ্কু মহারাজের যার আসল নাম জ্যোর্তিময় ঘোষদস্তিদার। তিনি হলেন বাংলা সাহিত্যে সুপরিচিত ভ্রমণ কাহিনীকার।

শঙ্কু মহারাজের জন্ম উনিশশো একত্রিশ খ্রিস্টাব্দের আজকের এই দিনে অর্থাৎ ৭ই মার্চ অধুনা বাংলাদেশের বরিশালে। পিতার নাম হরিপদ ঘোষদস্তিদার। বাল্যকালে তাঁর পড়াশোনা শুরু স্থানীয় ব্রজমোহন স্কুলে ও ব্রজমোহন কলেজে দেশবিভাগের পর কলকাতায় চলে আসেন এবং কলকাতার বঙ্গবাসী কলেজ থেকে স্নাতক হন।

এরপর কলকাতার এক সওদাগিরি অফিসে চাকরি নেন। তারপরে উনিশশো ষাট খ্রিস্টাব্দ থেকে উনিশশো অষ্টাশি খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সরকারি অফিসে কাজ করেন।

কিন্তু তিনি ব্যক্তিগত জীবনে পর্বতারোহী ছিলেন।বহুবার হিমালয় অভিযানে গেছেন। ট্রেকিংএ বেরিয়ে পড়তেন। উনিশশো নব্বই খ্রিস্টাব্দ হতে উনিশশো ছিয়ানব্বই খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি পশ্চিমবঙ্গ ভ্রমণ উন্নয়ন নিগমের মনোনীত সদস্য ছিলেন।

শঙ্কু মহারাজ তাঁর অনবদ্য রচনায় সমৃদ্ধ করেছেন বাংলার ভ্রমণ সাহিত্য সম্ভার। তিনি দীর্ঘ সাতাশ বছরের সাহিত্য জীবনে চল্লিশটিরও বেশি ভ্রমণ-সাহিত্য রচনা করেছেন। প্রথম ভ্রমণ বৃত্তান্ত সম্বলিত বইটি হল ‘বিগলিত করুণা জাহ্নবী যমুনা’। হিমালয়কে নিয়ে তাঁর পনেরোটি ভ্রমণ কাহিনী। তার মধ্যে শেষ খানি হল ব্রহ্মলোকে।

শঙ্কু মহারাজের প্রকাশিত গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বিগলিত করুণা জাহ্নবী যমুনা,হিমালয়,শঙ্কু মহারাজের শ্রেষ্ঠ গল্প, ত্রিপুরা-তীর্থে, ভ্রমণে ভারত দখিন-দেশে, দেশের মাটি ইত্যাদি।

শঙ্কু মহারাজ তথা জ্যোতির্ময় ঘোষদস্তিদার তিয়াত্তর বৎসর বয়সে দুহাজার চার সালের আঠারোই অক্টোবর কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।

তারিখ:- ০৭/০৩/২০২১ ইংরেজি

Facebook Comments