আবু নঈম মোহাম্মদ বজলুর রশিদ তিনি এএনএম বজলুর রশিদ নামে পরিচিত ছিলেন একজন বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, কবি, ঔপন্যাসিক ইত্যাদি ছিলেন।
তার রচিত ‘আমাদের দেশ’ ছড়াটি শিশুদের অনেক প্রিয়। সাহিত্যের অবদানের জন্য উনিশশো সাতষট্টি সালে নাটকের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার এবং উনিশশো উনসত্তর সালে তমঘা-ই-ইমতিয়াজ ভূষিত হন।
তিনি বাংলাদেশের ফরিদপুর শহরে উনিশশো এগারো সালের আটই মে জন্মগ্রহণ করেন।
উনিশশো চুয়ান্ন সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর পাস করেন।
তিনি উনিশশো তিয়াত্তর থেকে উনিশশো পঁচাত্তর এর সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং উনিশশো আশি এর সময়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেন।
তার রচিত অসংখ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে পান্থবীণা, মরুসূর্য, শীতে বসন্তে, রঙ ও রেখা, এক ঝাঁক পাখি, মৌসুমী মন, মেঘ বেহাগ, রক্ত কমল প্রভৃতি।
নাটক সমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঝড়ের পাখি, যা হতে পারে, উত্তরফল্গুনী, সংযুক্তা, ত্রিমাত্রিক, শিলা ও শৈলী, সুর ও ছন্দ, উত্তরণ, রূপান্তর, একে একে এক, ধানকমল প্রভৃতি।
উপন্যাস সমূহের মধ্যে রয়েছে পথের ডাল, অন্তরাল,
মনে মনান্তরে, নীল দিগন্ত প্রভৃতি।
ভ্রমনকাহিনীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দ্বিতীয় পৃথিবীতে, পথ বেঁধে দিল, দুই সাগরের দেশে, পথ ও পৃথিবী প্রভৃতি।
জীবনী গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে আমাদের নবী, আমাদের কবি, রবীন্দ্রনাথ, জীবন বিচিত্রা, পাকিস্তানের সুফীসাধক, স্কুলে মাতৃভাষা শিক্ষণ, ইসলামের ইতিবৃত্ত, জীবনবাদী রবীন্দ্রনাথ প্রভৃতি।
তিনি অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে ভগবতীচরণ স্মৃতিপদক, পাকিস্তান সরকার কর্তৃক প্রদত্ত তমঘা-ই-ইমতিয়াজ, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ঢাকা বেতারের শ্রেষ্ঠ নাট্যকার ও শ্রেষ্ঠ গীতিকার পুরস্কার।
পঁচাত্তর বছর বয়সে উনিশশো ছিয়াশি সালের আজকের এই দিনটিতে অর্থাৎ আট ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আজ তার মৃত্যুবার্ষিকীতে লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠনের সকল সদস্য, দায়িত্বশীল এবং শুভাকাঙ্ক্ষীবৃন্দের পক্ষ থেকে জানাচ্ছি বিনম্র শ্রদ্ধা এবং অজস্র ভালোবাসা।
তারিখঃ- ৮/১২/২০২১ ইং।