আলাউদ্দিন আলী ছিলেন একজন বিশিষ্ট বাংলাদেশী সুরকার, বেহালাবাদক, সঙ্গীতজ্ঞ, গীতিকার এবং সঙ্গীত পরিচালক। তিনি সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে সাতবার এবং গীতিকার হিসেবে একবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
উনিশশো বায়ান্ন সালের আজকের এই দিনটিতে অর্থাৎ চব্বিশে ডিসেম্বর আলাউদ্দিন আলী মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ী থানার বাঁশবাড়ী গ্রামের এক সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম জাবেদ আলী ও মাতা জোহরা খাতুন। আলাউদ্দিন তার পিতা ওস্তাদ জাবেদ আলী ও ছোট চাচা সাদেক আলীর কাছে প্রথম সঙ্গীতে শিক্ষা নেন।
উনিশশো আটষট্টি সালে তিনি যন্ত্রশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে আসেন এবং আলতাফ মাহমুদের সহযোগী হিসেবে যোগ দেন। এরপর তিনি প্রখ্যাত সুরকার আনোয়ার পারভেজ সহ বিভিন্ন সুরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন।
তিনি উনিশশো পঁচাত্তর সালে সঙ্গীত পরিচালনা করে বেশ প্রশংসিত হন। তিনি গোলাপী এখন ট্রেনে, সুন্দরী, কসাই এবং যোগাযোগ চলচ্চিত্রের জন্য উনিশশো অষ্টাশি সালে শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
এছাড়া উনিশশো পঁচাশি সালে তিনি শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তিনি খ্যাতিমান পরিচালক গৌতম ঘোষ পরিচালিত পদ্মা নদীর মাঝি চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন।
আলাউদ্দিন আলীর উল্লেখযোগ্য কিছু গানের মধ্যে রয়েছে একবার যদি কেউ ভালোবাসতো,ভালোবাসা যতো বড়ো জীবন তত বড় নয়,প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ,আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার, বন্ধু তিন দিন তোর বাড়ি গেলাম দেখা পাইলাম না, সূর্যোদয়ে তুমি, সূর্যাস্তেও তুমি ও আমার বাংলাদেশ, এমনও তো প্রেম হয়, চোখের জলে কথা কয়, যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে, মনে হয় এ দেহে প্রাণ আছে প্রভৃতি।
দুহাজার বিশ সালের নয় আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আজ তার জন্মবার্ষিকীতে লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠনের সকল সদস্য, দায়িত্বশীল এবং শুভাকাঙ্ক্ষীবৃন্দের পক্ষ থেকে জানাচ্ছি বিনম্র শ্রদ্ধা এবং অজস্র ভালোবাসা।
তারিখঃ- ২৪/১২/২০২১ ইং।