নরেন বিশ্বাস ছিলেন একজন বাংলাদেশী লেখক, গবেষক, আবৃত্তি শিল্পী এবং মুক্তিযোদ্ধা। আবৃত্তি চর্চায় তার নিপুণতা এবং বিভিন্ন গবেষণামূলক বই লেখার জন্য তাকে বাকশিল্পাচার্য বলা হয়ে থাকে।
নরেন বিশ্বাস উনিশশো পঁয়তাল্লিশ সালের ষোলই নভেম্বর গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার মাঝিগাতি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি উনিশশো পঁয়ষট্টি সালে বাংলা বিভাগ থেকে অনার্স এবং উনিশশো ছেষট্টি সালে মাস্টার্স পাশ করেন।
উনিশশো ছিয়াত্তর সাল থেকে আমৃত্যু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
উনিশশো একাত্তর সালে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে নরেন বিশ্বাস কলকাতায় চলে যান। তার ভাই নীতিশ বিশ্বাস ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার।
এ সময় তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের বিভিন্ন নাটক, জীবন্তিকা ও নকশায় অংশগ্রহণ করেন। নাটক, আবৃত্তি, উচ্চারণ, কথন প্রভৃতি শিল্প কর্মসাধনার কারণে তিনি খ্যাতি লাভ করেন।
বাংলা ভাষার শুদ্ধ উচ্চারণ শিক্ষার জন্য তিনি বাংলা উচ্চারণ অভিধান নামে একটি বই লিখেন । কাব্যের ব্যাকরণ হিসেবে রচনা করেন কাব্যতত্ত্ব অণ্বেষা ও অলংকার অণ্বেষা নামে দুʼটি বই। উচ্চারণ ও আবৃত্তি চর্চার জন্য কণ্ঠশীলন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তার লেখা অন্যান্য বইগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রসঙ্গ বাংলা ভাষা, বাংলা উচ্চারণ সূত্র, নিহত কুশীলব, রৌদ্রদিন, ক্রুশবিদ্ধ যিশু, তমসীর ফাঁসি ইত্যাদি।
উনিশশো আটানব্বই সালের আজকের এই দিনটিতে অর্থাৎ সাতাশে নভেম্বর নরেন বিশ্বাস মৃত্যুবরণ করেন।
আজ তার মৃত্যুবার্ষিকীতে লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠনের সকল সদস্য, দায়িত্বশীল এবং শুভাকাঙ্ক্ষীবৃন্দের পক্ষ থেকে জানাচ্ছি বিনম্র শ্রদ্ধা এবং অজস্র ভালোবাসা।
তারিখঃ- ২৭/১১/২০২১ ইং।