কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন বাঙালি সাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক।
আঠারোশো তেষট্টি সালের পনেরোই ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণার দক্ষিণেশ্বরে জন্মগ্রহণ করেন।
তার সমন্ধে বলা হয়ে থাকে “বঙ্কিমচন্দ্র যেমন উচ্চবিত্ত, রবীন্দ্রনাথ যেমন বুদ্ধিজীবী এবং শরৎচন্দ্র যেমন নিম্নমধ্যবিত্ত বাঙালীদের লইয়া সাহিত্য সংসার রচনা করিয়াছেন, কেদারনাথ তেমনই দরিদ্র বাঙালী কেরাণীদের লইয়া এক নূতন সংসার গঠন করিয়াছেন।”
তার প্রকাশিত সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে অভিনয় কাব্য (রত্নাকর) গুপ্তরত্নোদ্ধার, কাশীর কিঞ্চিৎ, কাশী সঙ্গীতাঞ্জলি, চীনযাত্রী, শেষ খেয়া, আমরা কি ও কে, কবলুতি, কোষ্ঠির ফলাফল, পাথেয়, ভাদুড়ী-মশাই, দুঃখের দেওয়ালী, উড়ো-খৈ, আই হ্যাজ, পাওনা, মা ফলেষু, সন্ধ্যাশঙ্খ, নমস্কারী স্মৃতিকথা প্রভৃতি।
সজনীকান্ত দাশের অনুরোধে বিরাশী বৎসর বয়সে তিনি নিজের জীবনের কিছু কথা নিয়ে লেখেন ‘স্মৃতিকথা’।
উনিশশো তেত্রিশ খ্রীষ্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি জগত্তারিণী স্বর্ণপদকলাভ করেন। সাহিত্য-মহলে কেদারনাথ ‘দাদামহাশয়’ নামে পরিচিত ছিলেন। কেদারনাথ ছিলেন ‘প্রবাসী বঙ্গ-সাহিত্য সম্মেলন’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।
সাহিত্য সেবার স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি দিল্লী, মিরাট, নাগপুর, কলকাতা, কাশী প্রভৃতি স্থানে অনুষ্ঠিত‘প্রবাসী বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন’এর সভাপতির পদ অলঙ্কৃত করেছেন।
শেষ বয়সে বিপত্নীক কেদারনাথ বিধবা কন্যা ও দৌহিত্রদের নিয়ে পুর্ণিয়াতে বসবাস করতেন।
সপ্তাশী বছর বয়সে উনিশশো উনপঞ্চাশ সালের আজকের এই দিনটিতে অর্থাৎ উনত্রিশে নভেম্বর পরলোক গমন করেন।
আজ তার মৃত্যুবার্ষিকীতে লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে জানাচ্ছি বিনম্র শ্রদ্ধা এবং অজস্র ভালোবাসা।
তারিখঃ- ২৯/১১/২০২১ ইং।