বাংলা সাহিত্যের অন্যতম ছড়াকার ও শিশু সাহিত্যিক ছিলেন আবুল হোসেন মিয়া। তিনি উনিশশো বিশ সালের আজকের এই দিনটিতে অর্থাৎ পহেলা অক্টোবর মাদারিপুর জেলার রাজৈরের কুঠিবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উনিশশো পঁয়ষট্টি সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এম.এ. ডিগ্রী লাভ করেন।উনিশশো বাহাত্তর সালে নটর ডেম কলেজে বাংলার অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন ।
শৈশব থেকেই কবি আবুল হোসেন মিয়া লেখালেখি শুরু করেন। তিনি যখন রাজৈর স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র তখন তাঁর প্রথম লেখা ‘ভরাভাদরে’ প্রকাশিত হয়। উনিশশো বত্রিশ সালে কোলকাতার ‘শিশু সাথী’ পত্রিকার ভাদ্র সংখ্যায় ওই লেখাটি প্রকাশিত হলে রাজৈর সাব-রেজিস্টার অফিসে হই চই শুরু হয়ে যায়। ওই অফিসে তখন শিশু-সাথী পত্রিকা রাখা হতো।
ফরিদপুরের বিশিষ্ট কবি সুফী মোতাহার হোসেনের অনুপ্রেরণায় সনেট লেখা শুরু করেন এবং তার রচিত একটি সনেট কলেজ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়। বাংলা বাজার থেকে প্রকাশিত হয়েছে তার প্রথম ছড়ার বই ‘তালবেতালের ছড়া’। তৎকালিন মাসিক কচি-কাঁচা, টাপুর-টুপুর, মাসিক মুকুল, খেলাঘর, সবুজ পাতা ছাড়াও সকল পত্রিকায় শিশু-কিশোরদের জন্য তিনি নিয়মিত লিখেছেন।
আবুল হোসেন মিয়ার যতো লেখা প্রকাশিত হয়েছে সে তুলনায় তাঁর বইয়ের সংখ্যা কম। সবুজ গাঁয়ে সবুজ ও তালবেতালের ছড়া এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ‘একটু খানি’ শিরোনামে একটি ছড়া-কবিতার বই প্রকাশ করে।
ছোটদের জন্য লেখা এসব বই ছাড়াও স্কুল কলেজের পাঠ্য বইয়ে কবি আবুল হোসেন মিয়া’র বেশ কয়টি লেখা তালিকাভুক্ত ছিলো।তার সাহিত্য কর্মের জন্যে ‘কবি শেখর’ উপাধিতে ভুষিত হন।
সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি অবনী স্মৃতি পদক, কোলকাতা, শিশুসাথী পুরুস্কার, যশোর সাহিত্য সংসদ কতৃক “কবি শেখর” উপাধি লাভ, গৌরবঙ্গ সাহিত্য পরিষদ, কোলকাতা কতৃক “কবি শেখর” উপাধি লাভ এবং দুইহাজার ষোল সালে মরনোত্তর মাদারীপুর জেলা শিশু একাডেমি কতৃক সম্মাননা লাভ করেন।
দুই হাজার সালের দোসরা ফেব্রুয়ারি কবি আবুল হোসেন মিয়া মৃত্যুবরণ করেন।
আজ তার জন্মবার্ষিকীতে লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠনের সকল সদস্য, দায়িত্বশীল এবং শুভাকাঙ্ক্ষীবৃন্দের পক্ষ থেকে জানাচ্ছি বিনম্র শ্রদ্ধা এবং অজস্র ভালোবাসা।
তারিখঃ- ১/১০/২০২১ ইং।