আশির দশকের সাড়া জাগানো বাংলা রক ব্যান্ড ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন রঞ্জন ঘোষাল।
তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন উনিশশো পঞ্চান্ন সালের সাত জুন পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের মেমারিতে।
তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ও পরে মুম্বইয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে শিল্প ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পিএইচডি করেন।
গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম ব্যান্ড ‘সপ্তর্ষি’র অন্যতম সদস্য ছিলেন রঞ্জন। উনিশশো পঁচাত্তর সালে ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’ ব্যান্ডের প্রথম দিন থেকে ছিলেন রঞ্জন ঘোষাল। বেশ কিছু গানের কথা লিখেছিলেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা, আর্ট ওয়ার্কগুলি রেকর্ড রাখা, অ্যালবামের কভার ডিজাইন এবং প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
মহীনের ঘোড়াগুলির বেশ কিছু গানের গীতিকার ছিলেন রঞ্জন। প্রথম অ্যালবাম সংবিগ্ন পাখিকুল এর ভেসে আসে কলকাতা, এছাড়া রানওয়ে, সুধীজন, অজানা উড়ন্ত বস্তু এর মতো গানগুলি রঞ্জন ঘোষালেরই লেখা।
পাশাপাশি ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় কবিতা, গল্পও লিখেছেন। নাটক ও চলচ্চিত্রের জন্য চিত্রনাট্য রচনা করেছেন। শেষ গল্পগ্রন্থ দে’জ থেকে অণুগল্পের বই। বেঙ্গালুরুতে সক্রিয় নাট্যকর্মী হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
মারীচ অ্যাডভার্টাইজিং নামে বিজ্ঞাপনী সংস্থা স্থাপন করেন বেঙ্গালুরুতে। পরবর্তী দশকগুলিতে ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’র জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে রঞ্জন ঘোষালের ভূমিকাও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
গত বছর অর্থ্যাৎ দুই হাজার বিশ সালের আজকের এই দিনটিতে অর্থাৎ নয় জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আজ তার মৃত্যুবার্ষিকীতে লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠনের সকল সদস্য দায়িত্বশীল এবং শুভাকাঙ্ক্ষীবৃন্দের পক্ষ থেকে জানাচ্ছি বিনম্র শ্রদ্ধা এবং অজস্র ভালোবাসা।
তাংঃ- ৯/৭/২০২১ ইং।