চবির নববর্ষের অনুষ্ঠানে লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠনের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা

১৪ই এপ্রিল। পহেলা বৈশাখ। বাংলা ১৪২৬ সালের প্রথম দিনটিতে গ্রাম বাংলার গণমানুষের জীবন সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠন বিশেষ এই দিনটিকে অতিবাহিত করে নানা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার মধ্যে দিয়ে।

পহেলা বৈশাখের প্রথম প্রহরে সংগঠনের সকল সদস্য প্রথমে একত্রিত হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে যেখানে সকলে মিলিত হয়ে সারাদিনের কর্মকাণ্ডের একটি খসড়া অনুলিপি তৈরী করে নেয়, যেটি দিনটিকে সঠিকভাবে অতিবাহিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

সকালের নাস্তা শেষ করার পর সকল সদস্য একত্রিত হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের “নাট্যমঞ্চ” উন্মুক্ত মঞ্চে যেখানে সংগঠন উপস্থাপন করে উত্তরবঙ্গের বহুল পরিচিত নাট্য আঙ্গিক “গম্ভীরা”।

সংক্ষিপ্ত নাস্তা সেরে দুপুর ঠিক ২ ঘটিকায় সাধারণ মানুষের প্রাণের স্পন্দন লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল প্রোগ্রাম শহীদ আব্দুর রব হলের মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে হাজারো মানুষের সামনে উপস্থাপন করে উত্তরবঙ্গের রাজশাহী চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলের নাট্য আঙ্গিক গম্ভীরা।
এই গম্ভীরার বিষয়বস্তু ছিলোঃ- “লোকসংস্কৃতি চর্চার প্রয়োজনীয়তা”। মুহূর্মুহু করতালির মধ্যে সংগঠনের প্রত্যেক সদস্য যখন মঞ্চ থেকে নামছিলেন তখন তাদের চোখে মুখে ছিলো আনন্দ অশ্রু।।

অতঃপর সংগঠন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের মহলা মহলে মুগ্ধ হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আথিতিয়তায় সেখানে তারা একত্রে গ্রহণ করে নাট্যকলা বিভাগের আপ্যায়ন।

সন্ধ্যা এবং রাতের কিছুটা সময়ে সংগঠন অতিবাহিত করে সকলের সাথে একত্রে চা আড্ডার মধ্যে দিয়ে।

সংগঠন স্বপ্ন দেখে শুধুমাত্র ১৪ই এপ্রিল বা পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ কেবল একটি মাত্র দিনই নয়। বরং এমন একটি সময় আসবে যেদিন সমস্ত ধরনের অপসংস্কৃতির বিপরীতে দাঁড়িয়ে গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষের সংস্কৃতি, প্রকৃত অর্থের দেশজ সংস্কৃতি, লোক সংস্কৃতি, তার ইতিবাচক শক্তির দ্বারা প্রত্যেকটি দিনকেই করবে আনন্দপূর্ণ উৎসবের আমেজ পরিমণ্ডিত এক একটি দিন।

লেখকঃ-
আব্দুল্লাহ আল মারুফ
(প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠন)

Facebook Comments