মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা ছিলেন একজন বিশিষ্ট বাঙালি কবি। তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি, মহিলা কবিদের মধ্যে প্রথম সনেটকার ও গদ্য ছন্দের কবি।
তিনি উনিশশো ছয় সালের ষোলোই ডিসেম্বর পাবনা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস কুষ্টিয়া জেলার নিয়ামতবাড়ি গ্রামে।
তার পিতা খান বাহাদুর সোলাইমান রাজশাহী বিভাগের ডেপুটি কালেকটর ছিলেন। তার পূর্বপুরুষ শেখ সাইফুল্লাহ জমিদারি নিয়ে এ অঞ্চলে আসেন।
তিনি পার্শ্ববর্তী জমিদার কন্যা হওয়ায় কবিরগুরু স্নেহধন্য ছিলেন, তার কবিতায় মানুষের সুখ-দুঃখ ও আনন্দ-বেদনার আন্তরিক প্রকাশ ঘটেছে।
প্রকৃতির রূপবৈচিত্র্য তার কবিতায় প্রানের স্পর্শ লাভ করেছে। অত্যন্ত অল্প বয়সে তার কবি প্রতিভার স্ফুরণ ঘটে এবং বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তার কবিতা প্রকাশিত হতে থাকে।
পশারিণী, মন ও মৃত্তিকা এবং অরণ্যের সুর তার কাব্যগ্রন্থ। ষাটের দশক পর্যন্ত তিনি ছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ও খ্যাতিমান মহিলা কবি।
উনিশশো ত্রিশের দশকের শুরুতে কবি হিসেবে মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকার আত্মপ্রকাশ। তার প্রথম কবিতার বই ‘পসারিনী’ প্রকাশিত হয় উনিশশো বত্রিশ সালে। এতে তিনি প্রকৃতি, প্রেম ও বিরহ নিয়ে কতকগুলো কবিতা লিখেছেন।
একাত্তর বছর বয়সে উনিশশো সাতাত্তর সালের আজকের এই দিনটিতে অর্থাৎ দোসরা মে কবি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
আজ তার মৃত্যুবার্ষিকীতে লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠনের সকল সদস্য, দায়িত্বশীল এবং শুভাকাঙ্ক্ষীবৃন্দের পক্ষ থেকে জানাচ্ছি বিনম্র শ্রদ্ধা এবং অজস্র ভালোবাসা।
তারিখঃ- ২/৫/২০২১ ইং।